হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ অ্যাপ্রোনের বিশাল অংশজুড়ে পরে থাকা নষ্ট ২২টি উড়োজাহাজ সম্প্রতি সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, বছরের পর বছর পরে থাকা এসব উড়োজাহাজ সরিয়ে নেয়ার পর সেগুলো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ক্রেতা না থাকলে উড়োজাহাজগুলো ভেঙে ডাম্পিং করা হবে।
উড়োজাহাজগুলোর জন্য কার্গোতে মালামাল পরিবহনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিলো। নষ্ট উড়োজাহাজগুলো থেকে বকেয়া পার্কিং চার্জও আদায় করতে পারছে না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল বিমানবন্দর।
বেবিচক সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩০ মার্চ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের রুটের ফ্লাইট কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বেসরকারি এয়ারলাইনস জিএমজি। কার্যক্রম বন্ধের সাত বছর পার হলেও শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পরিত্যক্ত দুটি এমডি-৮২ উড়োজাহাজ সরিয়ে নেয়নি এয়ারলাইনসটি। এই কোম্পানির মতো কার্গো ভিলেজ অ্যাপ্রোনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলো বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ২২টি উড়োজাহাজ। বেবিচক কর্তৃপক্ষ এগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সকে তাগাদা দিয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠালেও কোনা পদক্ষেপ নেয়নি তারা।